ভারত বাংলাদেশ আক্রমণ করলে যা হতে পারে


দানবাকৃতির ভারত ১৪ দিনে ক্ষুদ্রাকৃতির বাংলাদেশকে দখল করবে এটা অনেক বেশি সময় হয়ে গেলো না? (!) নিজের সামরিক সক্ষমতা এভাবে প্রকাশ করা কি ঠিক হল? তাও আবার বাংলাদেশের মত বন্ধু রাষ্ট্রকে অবজ্ঞা করে! আপনারা যদি নিউজটা ঠিক এভাবে করতেন বেশ ভালো হত, 'মহকুমা সাইজের ইসরাইল বন্ধুহীন ভারতকে দখল নিতে মাত্র চার ঘন্টা সময় লাগবে!' যদি আরো একটু সামনে এগিয়ে বলতেন, 'পাকিস্তানকে ছাড়াই চীন মাত্র দু'ঘন্টায় ভারতের দখল নিতে সক্ষম।"

পশ্চিমবঙ্গের বাংলা পত্রিকার মধ্যে 'আনন্দ বাজার' পত্রিকা হচ্ছে সবচেয়ে পুরনো এবং প্রথম শ্রেনীর পত্রিকা। কিন্তু বাংলাদেশের কলামিস্টরা আনন্দবাজারকেও গোণায় ধরে না, কারণ বাংলাদেশের পত্রিকার মান এর চেয়ে অনেক ভালো। বাংলাদেশি কলামিস্ট গৌতম দাস একবার আনন্দবাজারকে মিষ্টি ভাষায় আপমান করে 'আনন্দবাজারের ছেলেমি সাংবাদিকতা ' নামে একটি কলাম লেখেছিলেন। কলামটি পড়ুন (goo.gl/mkRHaJ)। আর মলকাতা24x7 তো একটি তৃতীয় শ্রেনীর পত্রিকা, মাঝে-মধ্যে বাংলাদেশীরা বিনোদনের জন্য এসব পেইজে গিয়ে কমেন্ট করে।

একটি পত্রিকা তার দেশের জনগনের মনের চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী নিউজ করে থাকে। কলকাতার পত্রিকাগুলো সবসময় চটি গল্প লিখে তাদের জনগণের রুচিকে প্রকাশ করছে। :P আপনি অন্যরাজ্যের নিউজগুলাতে এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন নিউজ পাবেন না। তারা আবার মাঝে মাঝে নিজেদের গোপন সামরিক কর্মকান্ডের কথা ফাঁস করে! :P অথচ অন্য কোন দেশ এরকমটা করেনা, আর কোন বোকা দেশ বিরোধী এমন কাজ করবে? আমার মতে তারা তিনটি কারণে এসব নিউজ করে থাকতে পারে-

*অন্যদেশকে ভয় দেখানো বা সতর্ক করা
*নিজেদের ভঙ্গুর দেশপ্রেমকে চাঙ্গা রাখার জন্য
*পেইজের ফলোয়ার বাড়ানো

একটি দেশ অপর দেশের পত্রিকার নিউজ অনুযায়ী সামরিক প্রস্তুতি নেয় না। তারা তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা বাহিনীর রিপোর্ট আনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়। তাছাড়া এসব শিশুসুলভ আচরণ করা পত্রিকার রিপোর্ট নিয়ে নিজেরা মরবে নাকি। ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা এখনো শঙ্কায় আছে যে পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গালীদের মধ্যে আবার বাঙ্গালী জাতিয়তাবোধ জেগে উঠতে পারে। ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এমন আশঙ্কা ব্যাক্ত করা হয়েছে goo.gl/yLvjct ১৩.০১,২০১৪ ''স্টে ইউনাইটেড শিরোনামের একটি নিবন্ধে যশবন্ত সিং 'বঙ্গভঙ্গ' এর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, 'এই শব্দটি নিয়ে বাংলার মানুষের মধ্যে অন্য এক মানসিকতা কাজ করে।'' কিন্তু এ বিষয়ে কলকাতার বুদ্ধিজীবী বা প্রবীণরা সচেতন থাকলেও তরুণরা অজ্ঞতায় ডুবে আছে। তরুণদের ভারত সরকার ব্যস্ত রেখেছে ক্রিকেট আর চটি নিঊজে। বাংলাদেশ বিরোধী শিরোনাম করে এসব বাংলা পত্রিকা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশীদের মধ্যে হিংসা, বিদ্ধেষ ছড়াচ্ছে যেন দুই বাংলার মানুষ কখনো এক হওয়ার কথা মাথায় আনতে না পারে। মাঝে মাঝে আমার মনে প্রশ্ন জাগে, 'ভারতীয় বাংলা পত্রিকাগুলো কারা নিয়ন্ত্রন করছে?' পেইজকে গরম রাখার চেষ্টা সব পত্রিকায় করে থাকে কলকাতার বাংলা পত্রিকা তার ব্যতিক্রম না। কিন্তু এরকম অদ্ভূত শিরোনাম কেন?

kalkata24x7 নামক একটি পত্রিকা শিরোনাম করেছে, '১৪ দিনে বাংলাদেশ দখল করতে পারে ভারত!''
______________________________________________________
৮৫৮০৬ বর্গমাইল আয়তন, ১,২৫,৪৮,৯২৬- এক কোটি পঁচিশ লক্ষ' ( ৭৭% মুসলিম) জনসংখ্যার কাশ্মীরে ভারতীয় মোট ১৩ লক্ষ সেনাবাহিনীর মধ্যে কাশ্মীরেই কেবল ৬ লক্ষ সেনা রয়েছে! ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গড়ে ১০০০ কাশ্মীরির জন্য রয়েছে ২০ জন সেনা! যাদের কোন নিজস্ব সামরিক বাহিনী নেই!

৭ কোটি জনসংখ্যা, ৫৬,৯৭৭ বর্গ মাইলের পূর্বপাকিস্তানে মাত্র ১ লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছিল তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান। সে হিসেবে কাশ্মীরে ভারতের কত সেনা থাকা উচিৎ? ভারতের সেনা কি তাহলে পাকিস্তানের চেয়ে দূর্বল?

কিন্তু ৭১-২০১৭ পর্যন্ত অনেক বছর পেরিয়ে গেছে, ২০১১ আদমশুমারি বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪,৯৭,৭২,৩৬৪! জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভারত বিদ্বেষ এবং বেড়েছে সামরিক শক্তি। ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তান বেঙ্গল রেজিমেন্টের তেত্রিশ হাজার সৈন্য পশ্চিম পাকিস্তানে সরিয়ে নেয়। তা নাহলে বিনা রক্তপাতে পূর্বপাকিস্তান স্বাধীনতা পেয়ে যেত। কিন্তু শেখ মুজিবের অদুরদর্শিতার কারনে পশ্চিম পাকিস্তান সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। শেখ মুজিব হয়তো অখন্ড পাকিস্তানই চেয়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের অংশ ছিল বিধায় তেত্রিশ হাজার সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে কিন্তু ভারত? ভারত বাংলাদেশের বিশাল এই বাহিনীকে মোকাবেলা করবে কিভাবে? আসুন সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নিই বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী সম্পর্কে-

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আধা সামরিক বাহিনী দু'টি সাধারণ সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। অধীনে থাকে, তবে যুদ্ধকালীন সময়ে এই বাহিনীদ্বয় যথাক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হবে।

সামরিক বাহিনীতে সেবাদানে সক্ষম-
৩,৬৫,২০,৪৯১, বয়স ১৯-৪৯ (আনুমানিক ২০১০)
সেবাবাহিনীতে যোগদানের উপযুক্ত-
৩,০৪,৮৬,০৮৬ পুরুষ, বয়স ১৯-৪৯ (আনুমানিক ২০১০),
৩,৫৬,১৬,০৯৩ মহিলা, বয়স ১৯-৪৯ (আনুমানিক ২০১০)
Reaching military age annually-
১৬,০৬,৯৬৩ পুরুষ (আনুমানিক ২০১০),
১৬,৮৯,৪৪২ মহিলা(আনুমানিক ২০১০)
সক্রিয় কর্মিবৃন্দ -৪,৫০,০০০
সংরক্ষিত কর্মিবৃন্দ - ২,২৮০,০০০
নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মিবৃন্দ জাতিসংঘ মিশনে রয়েছে – ১২০০০ (মে, ২০১২)
সুত্র- goo.gl/CjAXRV উকিপিডিয়া বাংলা।

তাছাড়া এ যুদ্ধ কেবল বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা। এতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে অবিশ্বাস্য রকমের। হাজার হাজার বেকার তরুণ অপেক্ষায় আছে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের জন্য। যদি ভারতের সাথে যুদ্ধই লেগেই যায় তাহলে তরুণ- যুবরা সেই সুযোগ হাতছাড়া করবেনা। :D বাঁচলে মুক্তিযোদ্ধা, মরলে স্বর্গ :D অবস্থা বেশি খারাপ দেখলে বাংলাদেশ তার অসামরিক বাহিনী পুলিশকেও কাজে লাগাতে পারে, পুলিশের রয়েছে ১,৪১,১২৩ সদস্য goo.gl/ik3mcp

kalkata24x7 এর রিপোর্টটি যদিও ৭১ এর প্রেক্ষাপটে করেছিলো কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ছেলেরা নিউজটা না পড়েই বর্তমান বাংলাদেশকে নিয়ে তারা কমেন্ট করেছে, হা হা হা। kalkata24x7 কমেন্ট বাড়ানোর জন্য চালাকি করে শিরোনামে পূর্বপাকিস্তান না লিখে বাংলাদেশ লিখেছে যদিও ৭১ এ বাংলাদেশের অস্তিত্ব ছিলনা! :P

(১৪ দিনে বাংলাদেশ দখল- রিপোর্ট্টি দেখুন goo.gl/crZPTC )

তাদের কমেন্টের ধরণ অনুযায়ী ধরেই নিলাম ১৪ দিনে বাংলাদেশ দখল নিবে কিন্তু প্রশ্ন একটাই কত দিন দখলদারিত্ব টিকে থাকবে? আর যুদ্ধটা কি কেবল বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে? চীন, পাকিস্তান কি সুযোগ নিবে না?

টানা ২০ দিনও যুদ্ধ করার ক্ষমতা নেই ভারতের!!! বিস্তারিত - দ্যা হিন্দুস্তান টাইমস ( goo.gl/QJvmJR ) ঢাকা টাইমস ( goo.gl/2xBWX1 ) দৈনিক যুগান্তর ( goo.gl/vLZQdt ) ১৪ দিন যদি বাংলাদেশের মত ছোট দেশের পিছনে গোলাবারুদ খরচ করে পেলে তাহলে বিশাল চীনের জন্য ৬ দিনের বারুদে কি হবে? পাকিস্তানকে বাদই দিলাম, তাদের জিহাদি গ্রুপগুলাকেও বাদ দিলাম। :D

চলতি বছরের জুনে একটি পোস্ট করেছিলাম তা আবার আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম-

"বেশি কিছু লাগবে না শুধু পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিরতা সৃষ্টি করলেই ভারতের মানচিত্র খরা পড়া ধানক্ষেতের মত ফেটে চৌচির হয়ে যাবে৷ ভারতকে ভাগ করা খুবই সহজ৷ ভারত মিডিয়া নির্ভর একটি দেশ, গুজবের উপর ভর করে টিকে আছে৷ সামরিক শক্তি নিয়ে আজগুবি সব নিউজ করে থাকে তারা৷ জনগণের মন চাঙ্গা করা এবং স্বাধীনতাকামীদের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এসব আজগুবি গাঁজাখোরি টাইপের নিউজ করে৷ ভারতের অভ্যন্তরীন মজবুত ঐক্যের যেসব গাঁজাখুরি গল্প করা হয় তার সবই ভূয়া৷ ভারতের জাতীয় ঐক্য খুবই নড়বড়ে যতটুক টিকে আছে তা কেবল গাঁজাখোর মিডিয়ার উপর ভর করে৷ ঐক্য যদি এতোই মজবুত হতো তাহলে পাঞ্জাব, কাশ্মীর, সিকিম, সেভেন সিস্টার ভারতের কাছে স্বাধীনতা চাইতো না৷ তাই এই নড়বড়ে ঐক্যের খুঁটি ধরে হালকা একটু নাড়া দিলেই হবে৷ বাংলাদেশ সীমান্তকে অস্থির করে তুলতে হবে৷ এতে করে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সামরিক ব্যয় বেড়ে যাবে৷ কাশ্মীর সীমান্ত থেকে সৈন্য সরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আনতে হবে ভারতকে৷ অস্থির হয়ে উঠবে সেভেন সিস্টারের স্বাধীনতাকামী উলফা সৈনিকরা৷ উলফা দমাতে ভারতের অভ্যন্তরেও কিছু সৈন্যকে কাজে লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে ভারত সরকার৷

অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে সিকিমের মাওবাদীরা গোর্খাল্যান্ডের পরিবর্তে সিকিমের স্বাধীনতা পুনঃউদ্ধারের জন্য যুদ্ধ লাগিয়ে দিবে৷ সেখানেও কিছু সৈন্য পাঠাবে ভারত৷

এদিকে চীন বসে বসে আঙুল চুষবে না, তারা অরুনাচল দখল নিবে৷ এভাবে ভারতের পূর্বাঞ্চলে উত্তেজনা ( যুদ্ধ) ছড়িয়ে পড়বে৷ অন্যদিকে পাকিস্তানও পোড়া মুরগীর রান চিবাবে না৷ তারা পাঞ্জাবকে স্বাধীন করে দিতে ব্যস্ত থাকবে৷ তাহলে কাশ্মীরের কি হপে?! হা হা হা, কাশ্মীরিরা কি পাঁঠার রান চিবাবে? তারা একাই একশো, ওখানে পাকি সৈন্যের দরকার নেই৷ সখ করে পাকিস্তানীরা আসলেও আসতে পারে ;) কারণ পাকিস্তান ভাগের প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ পাকিরা হাত ছাড়া করতে চাইবে না৷ :D চীন কাশ্মীরে তাদের দাবিকৃত অঞ্চলে সৈন্য এবং অস্ত্র পাঠাতে পারে৷

তাছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলীম প্রধান এলাকার মুসলমানদের ভূমিকা কি হবে বলা মুশকিল৷ তবে হায়াদ্রাবাদ তার হারানো স্বাধীনতা পুনঃউদ্ধারের চেষ্টা করতে পারে৷ আর এভাবে যখন ভারতের অভ্যন্তরে যুদ্ধের মহামারি ছড়িয়ে পড়বে তখন স্বেচ্ছায় অনেক রাজ্য ভারত থেকে বেরিয়ে যাবে৷ তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কেরাল রাজ্য, তামিলরা৷ পশ্চিমবঙ্গের অজ্ঞগুলারে নিয়ে বলা মুশকিল৷ তবে চীনের একটাই স্বপ্ন ভারতকে ৩০ ভাগে ভাগ করা৷ ৩০ ভাগে ভাগ করতে না পারলেও বাংলাভাষীদের নিয়ে বৃহত্তর বাংলা গঠন অথবা পৃথক রাষ্ট্র গঠন করার ইচ্ছে আছে চীনের৷ এ নিয়ে চাইনীজ থিঙ্ক ট্যাঙ্কের চিন্তা ভাবনামূলক একটি পোস্টের লিঙ্ক-

'Broken up'

The report was written by the China International Institute of Strategic Studies in July 2009. The Times of India quoted it as saying that Beijing "should work towards the the break-up of India into 20-30 independent states with the help of friendly countries like Pakistan, Bangladesh, Nepal and Bhutan.The article was reportedly written under the pseudonym "Zhan Lue" (Strategy). It argued that if China "takes a little action, the so-called great Indian federation can be broken up".

BBC uk 7.8.2009 'Broken up' ( goo.gl/8dykcS )

যাই হোক বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিরতা সৃষ্টির আগে চীনের সাথে নিরপত্তামূলক চুক্তি করে নিলে ভালো হয়৷ ভয় নেই; বন্ধুহীন রাষ্ট্র ভারতকে সহযোগীতা করতে কেউ আসবে না৷ আমেরিকা, ইসরাইল দূর থেকে তালিয়া বাজাবে৷ কারণ দেশ ভাগ হলে সুদের ব্যবসা আর অস্ত্র ব্যবসাটা বেশ ভালো জমবে৷ :P

______________________________________________________

চলুন দেখি বাংলাদেশে চাইলে কিভাবে ভারতকে চার ভাগে করবে ? (কাশ্মীর, পাঞ্জাব, সিকিম, 7 সিস্টার)

বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ৮৫ ভাগ ভারত আর ১০ ভাগ মায়ানমার, ৫ ভাগ সমুদ্র৷ তাই বাংলাদেশ যদি ভারতের কলকাতা অথবা সেভেন সিস্টার খ্যাত যেই কোন একটা রাজ্য দখল করার উদ্দেশ্য আক্রমণ করে তবে বাংলাদেশের ৯০ ভাগ আর্মি আমরা ব্যবহার করবো ভারতের জন্য৷ বাকি ১০ ভাগ যথেষ্ট মায়ানমারের জন্য৷

এখন যুদ্ধের হিসাব অনুযায়ী আপনি যদি জিততে চান তবে আপনাকে পরিকল্পনার করতে হবে একজন সৈনিক এর বিপরীতে তিন জন৷ তাহলে দেখা যাচ্ছে ভারত যদি এই যুদ্ধে জিততে চায় তবে ওদের মোট সৈনিক লাগবে ১৫ লক্ষ৷ কিন্ত মজার ব্যাপার হচ্ছে ভারতের মোট সৈন্য আছে ১৩ লক্ষ৷ তার মধ্যে সবচেয়ে সাহসী সৈনিক হচ্ছে শিক সেনারা৷ যারা আবার নিজেদের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের দ্বারস্থ হয়েছিল এই সুযোগে ওরা স্বাধীনতা চাইবে৷ হবে একভাগ, সৈনিক কমবে তিন লক্ষ, থাকবে দশ লক্ষ৷ তার মধ্যে তিন লক্ষ সৈনিক রিজার্ভ, তারা আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত নয় কিংবা প্রতিহত করার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নয় তাদের কাজ দুর্যোগের সময় সাহায্য বিতরন করা৷

থাকলো ৭ লক্ষ, এদের মধ্য আবার নেপালী গোর্খরা ভাড়াটে সৈনিক ১ লক্ষ যারা যুদ্ধ পরিস্থিতে কি ভূমিকা রাখবে সন্দেহ আছে৷ ১ লক্ষ কমে হলো ৬ লক্ষ যাদের মধ্যে অন্তত ২ লক্ষ যুদ্ধ পরিস্থিতে ছুটি নিবে নিশ্চিত, প্রমানিত৷ থাকবে ৪ লক্ষ , এই হিসেবে আর আগাবো না কারণ ইতোমধ্যে ভারতী বন্ধুদের ভয়ে হাগু ধরে গেছে নিশ্চিত...

আসুন এইবার দেখি যদি ভারত তাদের অন্য সীমান্তের সৈনিক কমিয়ে বাংলাদেশের আক্রমন ঠেকাতে আসে তাহলেও চিন ও পাকিস্তান সীমান্ত দূর্বল হয়ে পড়বে৷ কারণ ভারতের মোট ৭০ ভাগ সৈনিক মোতায়েন আছে সেখানে৷ এই সুযোগে চিন দখল করবে অরুণাচল প্রদেশ৷ হবে দুই ভাগ, পাকিস্তান দখল করবে কাশ্মীর, হবে তিন ভাগ৷ আমরা করব কলকাতা হবে চার ভাগ৷

বিঃদ্রঃ রৌমারীর সীমান্ত চকি দখল করতে এসে বাংলাদেশের মাত্র ১১ জন জওয়ান দ্বারা ভারতের ১০৬ জওয়ান নিহত, ভারতীয় পত্রিকার হিসাব অনুযায়ী৷ আর বাংলাদেশের হিসেবে ১৫৫ জন! :P goo.gl/Nmn5J2 রৌমারী যুদ্ধ।



অতএব,
জাগো বিডিআর জাগো, গর্জে উঠো ইমানী শক্তিতে৷ মরতে তো একদিন হবেই, বাঁচলে সিংহের মতো বাঁচো৷''
Powered by Blogger.